প্রথমে ধারণা করা হচ্ছিল সাকিব আল হাসান ১৮ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন। তবে সেটা ৬ মাসও হতে পারে।
কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে সাকিব আল হাসানকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আইসিসি। কিন্তু এক বছর সাঁজা স্থগিতও করে দেয়। যার কারণে ২০২০ সালে ২৯ অক্টোবর থেকে ফের মাঠে সক্রিয় হতে পারবেন সাকিব আল হাসান।
ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে সেটাকে প্রত্যাখ্যান করলেও আইসিসি কিংবা বিসিবিকে না জানানোর কারণেই এই শাস্তি আরোপ করা হলো ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
বিসিবি সভাপতি পাপন জানিয়েছিলেন, তিনি এই সম্পর্কে কিছু জানতেন না। সাকিবই তাকে বলেছিল। তারা কেবল ফলাফলই জেনেছে।
তবে সাকিব ইস্যুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে রীতিমতো ধুয়ে দিলেন বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী।
সাকিবদের ধর্মঘটের পর গত ২২ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে ‘ম্যাচ ফিক্সিংয়ের খবর আসছে’ বলে যে উক্তি করেছিলেন পাপন, সেটির ভিডিও শেয়ার করে সাবের হোসেন চৌধুরী ‘মিথ্যাবাদী’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন বিসিবির বর্তমান সভাপতিকে।
সাবের হোসেন নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েকটি টুইট করেছেন। যার একটিতে ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমার মনে হয় বিসিবি সবকিছুই জানতো এবং পাপন সাহেব যে বলেছেন, তার কোনো ধারণাই ছিল না, কথাটা সত্য নয়। দুঃখ লাগলেও এটা বলতেই হচ্ছে। ২২ অক্টোবরের যে ভিডিও ক্লিপটা, তাতে মনে হচ্ছিল পাপন সাহেব আইসিসির ঘোষণার জন্য অধৈর্য হয়ে অপেক্ষা করছিলেন।’
আরেক টুইটে বিসিবির সাবেক সভাপতি লিখেছেন, ‘ভণ্ডামি, সর্বোৎকৃষ্ট/নিকৃষ্টের দ্বৈত চরিত্র। বিসিবি আইসিসির সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছে। ক্রিকেট দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমান আবেগই দেখিয়েছে। কিন্তু সংস্থাগত ম্যাচফিক্সিং দুর্নীতির মূলোৎপাটন না করে, ঘরোয়া ক্রিকেটে সেটাকে আরও উৎসাহিত করছে বিসিবি। লজ্জাজনক।’
সাকিবের পাশে দাঁড়াবে বিসিবি, এমন আশ্বাসকেও বিশ্বাস করার মতো নয় মনে করছেন সাবের হোসেন চৌধুরী। অপর টুইটে সাবের হোসেন লিখেন, ‘কেউ যখন অপরাধ করে, সুবিচার প্রাপ্য। বিসিবি কমপক্ষে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমানোর চেষ্টা করতে পারতো। দুঃখ লাগছে যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এই জায়গায় সাকিবের পাশে দাঁড়ায়নি। এখন অযথা মায়াকান্না দেখাচ্ছে।’
Leave a Reply