নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন যশোর, কুষ্টিয়া এবং রাজশাহীর বাস শ্রমিকরা। হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শ্রমিক সংগঠন যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা ও শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোর্তজা হোসেন জানান, শ্রমিকরা কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করে না। অথচ অনিচ্ছাকৃত দুর্ঘটনার জন্য নতুন প্রণীত সড়ক পরিবহন আইনে তাদের ঘাতক বলা হচ্ছে। তাদের জন্য এমন আইন করা হয়েছে, যা সন্ত্রাসীদের জন্য প্রযোজ্য। শুধু তাই নয়, এই আইনের অনেক ধারার ব্যাপারেই শ্রমিকদের আপত্তি রয়েছে, যা সংশোধন জরুরি। এ ব্যাপারে শুরু থেকেই শ্রমিকরা আপত্তি করছেন। বিষয়টি সরকার সমাধানের কোন উদ্যোগ না নেয়ায় সাধারণ শ্রমিকরা স্বেচ্ছায় বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।
এদিকে, কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী দূরপাল্লার পরিবহন কিছু কিছু চলাচল করলেও অধিকাংশই বন্ধ রয়েছে। একই সাথে বন্ধ রয়েছে উত্তরবঙ্গের সাথে দক্ষিণাঞ্চলের সকল বাস।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম জানান, অধিকাংশ পরিবহন শ্রমিকের লাইসেন্স নেই। এছাড়া ফিটনেস নেই অনেক পরিবহনেরই। এ অবস্থায় মামলার ঝুঁকি নিয়ে পরিবহন চালানো সম্ভব নয়। এক প্রকার বাধ্য হয়েই স্বেচ্ছায় বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকরা।
রাজশাহী জেলা সড়ক পরিবহন গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটো জানান, শ্রমিকরা তাদের দাবি পূরণে যানবাহন চালাচ্ছেন না। তবে প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা হচ্ছে। সময়ের ব্যবধানে সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে।
সোমবার সকাল থেকে হঠাৎ করেই শ্রমিকরা নতুন সড়ক আইন কার্যকরের প্রতিবাদে জেলার সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। শ্রমিকরা নতুন সড়ক আইন কার্যকরের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সড়ক আইনে যে পরিমাণ জরিমানার কথা বলা হয়েছে, তা পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের এক ধরনের কোণঠাসা করে রাখা। এই আইন মান্য করে যানবাহন চালানো সম্ভব নয়।
Leave a Reply