সাইদুজ্জামান সাগর-নিজস্ব প্রতিবেদক:
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা সদরের বাসষ্ট্যান্ড গোল চত্বর থেকে আবাদপুকুর-কালীগঞ্জ বাজার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ২২ কিলোমিটার সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার না করায় এবং নতুন করে সড়কটি প্রশ্বস্ত ও আধনিকায়নের কাজ মৃদু-গতিতে চলার কারণে বড় বড় খানা-খন্দকে ভরা সড়কটি বর্তমানে যাত্রী-সাধারণের জন্য যুদ্ধ ক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কটি দেখে মনে হয় এ যেন ছোট ছোট পুসকনি! যার ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। যাত্রী-সাধারণ ও স্থাণীয়রা বলছেন,সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং নজরদারির অভাবে সড়কটির এমন র্দুদশা! বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুকি নিয়েই চলতে হচ্ছে এই সড়কে।
জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় পৌনে তিন লাখেরও বেশি মানুষের বসবাস। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে ধানবোঝাই, বিভিন্ন মালবাহী শত শত ভারী যানবাহন ট্রাক, ট্রাক্টর, মিনি ট্রাক, ভটভটি-লছিমন, টমটম, অটোভ্যানসহ লাখো মানুষ চলাচল করে। গত ২০১৪-১৫ইং অর্থ বছরে উপজেলার প্রধান এই সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর হতে নওগাঁর সড়ক ও জনপদ বিভাগকে গেজেটের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয় বলে উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়। দীর্ঘদিন আগে পাকা সড়কের কার্পেটিং উঠে যাওয়াই বৃষ্টির পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানা-খন্দের। সড়ক ও জনপথ বিভাগ টেন্ডার আহবান করলে টেন্ডারের সকল প্রক্রিয়া শেষে ওয়াহেদ কনস্ট্রাকশান নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সড়কের প্রশ্বস্ত-করণ ও আধনিকায়ন কাজের দ্বায়িত্ব পায়। এছাড়াও এই সড়কে ২৬টি কালভার্ট, ৪টি সেতু নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
নওগাঁর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হক বলেন, রাণীনগর-কালীগঞ্জ রাস্তার কাজ শেষ করতে আগামী ৮ মে পর্যন্ত নির্ধারিত সময় রয়েছে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদারদের যথা সময়ে কাজ শেষ করতে বেশ কয়েকটি পত্র দেয়া হয়েছে। আসা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তারা কাজগুলো সমাপ্ত করবেন।
Leave a Reply