:: নিউজ বুক প্রতিবেদক ::
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সরকার ধানসহ কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পেতে কাজ করে যাচ্ছে। যাতে স্বল্প খরচে এবং অল্প সময়ে অধিক ফলন উৎপাদন করা যায়। তার জন্য কৃষিকে আধুনিকীকরণ, যান্ত্রিকীকরণ এবং বাণিজ্যিকীকরণ করা হচ্ছে।
দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দূরদর্শী নের্তৃত্ব ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন করেছেন। এর ধারাবাহিকতায় দেশে তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে দেশব্যাপী উন্নত ও অধিক ফলনশীল সরিষার আবাদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সরিষা বাংলাদেশের প্রধান ভোজ্য তেল ফসল। সরিষা হতে যে খৈলে হয় তাতে প্রায় ৪০ শতাংশ আমিষ থাকে। এই খৈল গরু ও মহিষের জন্য খুব পুষ্টিকর খাদ্য।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী নতুন নতুন তৈল বীজের জাত উদ্ভাবন করে ব্যাপক হারে আবাদ করতে হবে। বারি এই জাতের সরিষার ফসল ৭৫-৮০ দিনে পাকে। প্রতি হেক্টরে ১.৪-১.৬ টন ফলন পাওয়া যায়। আমন ধান কাটার পর স্বল্প মেয়াদী জাত হিসেবে চাষ করে বোরো ধান রোপণ করা যায়।
সরিষাতে শুধু তেলই নয়, এ থেকে পুষ্টি সমৃদ্ধ খৈল পাওয়া যায়। যা আমাদের মৎস্য ও পশুর খাদ্য হিসেবে চাহিদা রয়েছে। দেশে তৈলবীজ চাষের এলাকা বৃদ্ধি ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে সব ধরনের সহায়তা করবে সরকার।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরিষাবাড়ীতে মোট ৪ দশমিক ৪৪ লাখ হেক্টর জমিতে বারি-১৪ সরিষা আবাদ করা হয়। যা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিক টন সরিষা এবং সরিষা থেকে ২ দশমিক ৫০ লাখ টন তেল উৎপন্ন হবে। তৈলবীজ উৎপাদন বৃদ্ধিতে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের উন্নত বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। তৈলবীজ তথা সরিষা উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ সহায়তা প্রদান করা হবে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আয়োজনে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক সোমবার (১৩ জানুয়ারী) সরিষাবাড়ী উপজেলায় সতপোয়ার গ্রামে উচ্চ ফলনশীল বারি সরিষার-১৪ আবাদ বাস্তবায়ন মাঠ দিবসে এসব কথা বলেন।
কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে মাঠ দিবসে বক্তব্য রাখেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান, সংসদ সদস্য ইঞ্জিঃ মোজাফ্ফর আহমেদ, এপিএ পুলের সদস্য মোঃ আব্দুল হামিদ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আব্দুল মুঈদ।
বাংলাদেশ কৃষিগবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
Leave a Reply