:: সুজন চাম্বুগং- মধুপুর সংবাদদাতা ::
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ধরাটি গ্রামে সংসারে কাজের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব কেঁচো সার চাষ করে স্বাবলম্ভী হয়েছেন অধিবাসী মাইকেল নকরেক।
মাইকেল নকরেক বিডি নিউজ বুক টোয়েন্টিফোর ডট নেটকে জানান, তিনি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিবিএসডিপি মাধ্যমে ২০১৫ সালে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে কেঁচো সার চাষ শুরু করি। প্রথমে মাটির চারিতে এ চাষের যাত্রা শুরু হয়। পরিবেশবান্ধব এবং কম খরচ হওয়ায় দিনদিন কেঁচো সারের চাহিদা বেড়েই চলছে। বর্তমানে ১০ টি চারি এবং পাকা হাউজ তৈরী কেঁচো চাষ করা হচ্ছে।
তিনি বিডি নিউজ বুক টোয়েন্টিফোর ডট নেটকে আরো জানান, প্রতি কেজি কেঁচো সার ১০ টাকা কেজি দারে বাড়ি থেকে বিক্রি হয়। বিক্রি করতে কোন বাড়তি ঝামেলা হয় না। ভবিষ্যতে তিনি আরোও চারি ও হাউজের সংখ্যাও বাড়াবেন।
এই স্যার ব্যাবহারে জমির উবর্তা শক্তি বৃদ্ধিসহ শাকসবজি, ফলমূলের ফলন ও সকল ধরনের কৃষি আবাদই ভালো হয়। প্রতি বছর কেঁচো সার বিক্রি করে ভাল টাকা লাভ পাওয়া যায়।
কেঁচো সার উৎপাদনের জন্য গাছের লতাপাতা, খড়, গরুর গোবর, হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা, ও কলাগাছ টুকরো-টুকরো করে কেটে মিশ্রণ করে দেয়া হয়। কয়েক সপ্তাহ পর কেঁচোর খাওয়া মলগুলো চালনি দিয়ে চালিয়ে সার বের করতে হয়।
পরে স্থানীয় চাষিরা কলা, আদা, হলুদ, আনারস ও সবজি চাষের জন্য জৈব সার হিসেবে জমিতে ব্যবহার করেন। এতে বাজারের সারের চেয়ে গুনগত মান বেশি এবং এ সার পরিবেশসম্মত। ইচ্ছে শক্তি থাকলে যে কেউ সংসারের পাশাপাশি এ সার তৈরী করতে পারেন।
মাইকেল নকরেকের স্ত্রী রোজি দিব্রা বিডি নিউজ বুক টোয়েন্টিফোর ডট নেটকে জানান, সাংসারিক কাজের পাশাপাশি কেঁচো সার তৈরির কাজে স্বামীকে সহায়তা করি। যে কেউ বাড়িতে অতি সহজে এ কেঁচো সার চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারেন।
আর একটু সরকারি পর্যায়ে থেকে সহযোগিতা পেলে ব্যবসার পরিধি আরো প্রসার ঘটানো সম্ভব হবে। বর্তমানে রাসায়নিক সারের অতিব্যবহারে জমির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে।
পরিবেশবান্ধব এই সার মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই স্যার ব্যবহারের ফলে পাশাপাশি রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমেছে।
Leave a Reply