:: বিডি নিউজ ডেস্ক ::
পিলখানা বিদ্রোহ আর হত্যাযজ্ঞের ১১ বছর পূর্ণ হবে আজ। ২০০৯ সালের এই দিনে রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) দরবার হলে বিদ্রোহী সদস্যদের হামলায় ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তাসহ নিহত হন ৭৪ জন।
বর্বরোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। এরমধ্যে হত্যা মামলার রায় হয়েছে উচ্চ আদালতে। হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ১৮৫ জনের যাবজ্জীবন এবং ২০০ আসামি বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয় উচ্চ আদালতে।
এদিকে, সরকার বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনাটিকে ‘পিলখানা হত্যা দিবস’ হিসেবে প্রতি বছর পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি।
দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী শহীদ ব্যক্তিবর্গের রুহের মাগফিরাতের উদ্দেশ্যে পিলখানাস্থ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরসহ সকল রিজিয়ন, সেক্টর, প্রতিষ্ঠান ও ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় খতমে কোরআন, বিজিবি’র সকল মসজিদে এবং বিওপি পর্যায়ে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে।
সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানগণ (সম্মিলিতভাবে), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং বিজিবি মহাপরিচালক (একত্রে) শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এছাড়া দিবসটি পালন উপলক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর যে সকল স্থানে রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন হয় সে সকল স্থানে বিজিবি পতাকা অর্ধনিমিত থাকবে এবং বিজিবি’র সকল সদস্য কালো ব্যাজ পরিধান করবে।
সেই সাথে ২৬ ফেব্রুয়ারি বাদ আসর (০৪:২৫ ঘটিকায়) পিলখানাস্থ কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদ ব্যক্তিবর্গের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি।
এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক, শহীদ ব্যক্তিবর্গের নিকটাত্মীয়গণ, পিলখানায় কর্মরত সকল অফিসার, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবীর সৈনিক এবং বেসামরিক কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করবেন।
Leave a Reply