:: নিউজ বুক ডেস্ক ::
সুপার সাইক্লোন আম্পান সাগর থেকে উপকূলের বেশ কাছাকাছি অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে শুরু হয়েছে ঝড় ও বৃষ্টি। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে ক্ষয়খতি যাতে কম হয়। সেজন্য আগাম ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসার খবরে আজ মঙ্গলবার সকালে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভা শেষে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মামুনুর রশীদ জানান, এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাওয়ায় জেলার আশ্রয়কেন্দ্রে আগের মতো লোক গাদাগাদি করে রাখা যাবে না। সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই আশ্রয়কেন্দ্রে রাখতে হবে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে জেলার সব উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলার সব উপজেলায় আজ সকাল থেকে মাইকিং করে জনসাধারণকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ মংলা, শরনখোলা, রামপাল ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার জনসাধারণ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছে। মংলা বন্দরে অবস্থানরত ১১টি জাহাজকে বন্দরের মূল চ্যানেল থেকে সরিয়ে নিরাপদে রাখা হয়েছে।
এদিকে শরনখোলা উপজেলায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডার বেড়িবাঁধের সাউথখালী ইউনিয়নের গাবতলা ও বগি এলাকার প্রায় ২ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষ রিং বাঁধসহ ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কিন্তু বর্তমানে যে শক্তিশালী ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে, তাতে যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আতঙ্কে রয়েছে গাবতলা ও বগি এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।
সুন্দবনের পূর্ব বনবিভাগের ডিএফও বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের ১০টি স্টেশন ও টহল ফাড়ির সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পাশের বর্তি বন অফিসে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একই সাথে সুন্দরবনে অবন্থানরন সকল কর্মচারীদের সর্তক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply