:: নিস্বজ প্রতিনিধি ::
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অগ্নিকন্যা বেগম মতিয়া চৌধুরী। প্রতি ঈদেই তিনি দুস্থ অসহায়দের পাশের্^ দাঁড়ান ঈদ উপহার নিয়ে। করোনার গ্রাসে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের মানুষও ঈদ আনন্দ থেকে বিরত রয়েছে। করোনায় বিপন্ন দেশ, বিষন্ন মানুষ। মতিয়া চৌধুরী কৃষি মন্ত্রী থাকাকালে কৃষিতে ঘটিয়েছেন বিপ্লব।
উৎপাদন বেড়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। যার ধারাবাহিকতায় আজ খাদ্যের ঘাটতি নেই দেশে। করোনার থাবায় মানুষ কর্মহীন। হাতে নেই অর্থ। বেগম মতিয়া চৌধুরীর চিন্তাও ভিন্ন। করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই মতিয়া চৌধুরীর পরামর্শ ও সিদ্ধান্তক্রমে দলীয় নেতৃবৃন্দ তাদের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মানবিক সহায়তা হিসেবে নকলা নালিতাবাড়ীতে কর্মহীন অসহায় ও দরিদ্রদের নগদ অর্থ প্রদান করে পাশের্^ দাঁড়ান।
এমন পরিস্থিতিতে দুস্থদের কথা চিন্তা করে মতিয়া চৌধুরীর আগমন ঘটে তাঁর নির্বাচনী এলাকায়। তিনি সরকারী গাড়ী ব্যবহার না করে নিজ¯^ ভাড়ার গাড়িতে ঢাকা থেকে সরাসরি নালিতাবাড়ী আসেন গত ১৭ মে। গত ১৭ ও ১৮ মে নিজ নির্বাচনী এলাকা নকলা-নালিতাবাড়ীর পৌরসভাসহ সবকটি ইউনিয়নে তিনি মানবিক সহায়তা হিসেবে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মোট ৩৬৮০ জন দুস্থদের মাঝে ৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ঈদ উপহার হিসেবে বিতরণ করেন। এখানেই শেষ নয়।
গত ১৮ মে সোমবার পোড়াগাঁও ইউনিয়ন থেকে বিতরণ শেষে বেগম মতিয়া চৌধুরী রওয়ানা হন রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের উদ্দেশ্যে। মাত্র তিন কিলোমিটার রাস্তা পারি দিলেই তিনি পৌঁছবেন রামচন্দ্রকুড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। যেতে হবে নাকুগাঁও সেতুর উপর দিয়ে। বালু খেকুদের বালু উত্তোলনে সম্প্রতি সেতুর পাইল থেকে সরে যায় মাটি। সেতুর উপর দিয়ে ১০ টনের বেশি ওজনের যানবাহন চলাচল না করার আইন থাকলেও আইন অমান্য করে বালু খেকুরা। ১০ চাকার বালুভর্তি শতশত ট্রাক প্রায় ৪০/৫০ টন ওজন নিয়ে চলতে থাকে সেতুটি দিয়ে।
ফলে খসে যায় সেতুর ছাদ। প্রতিবাদ করে চেয়ারম্যান মেম্বার সহ সচেতন ব্যক্তিরা। সেতু কর্তৃপক্ষ শাক দিয়ে মাছ ঢাকে সেতুর ছাদে। কোনো রকমে ছাদটি মেরামত করে। ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় সেতুটির উপর দিয়ে আবার চলতে থাকে বালুভর্তি ট্রাক।
এ অবস্থায় গত ১৮ মে সোমবার বেগম মতিয়া চৌধুরী তাঁর বিতরণকার্য সম্পন্ন করতে সীমান্ত সড়কে হঠাৎ গতিপথ পরিবর্তন করে মাত্র ৫ মিনিটের রাস্তায় না গিয়ে প্রায় ২৫ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে (প্রদক্ষীন) রামচন্দ্রকুড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে হাজির হন।
বিশ^স্ত সুত্রে জানা গেছে, বেগম মতিয়া চৌধুরী এই সেতুটির এমনদশা হওয়ার কারণে তিনি মৌন প্রতিবাদ করে ২৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে রামচন্দ্রকুড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পৌঁছেন।
Leave a Reply