ইসমাইল হোসেন, সরিষাবাড়ী(জামালপুর)প্রতিনিধিঃ জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে জমি সংক্রান্ত মামলায় বিবাদী হয়েও ডিগ্রী পেয়ে জমি দখল যেতে পারছেন না এক অসহায় আনসার পরিবার। ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে ,সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের সেঙ্গুয়া গ্রামের মৃত আজিমউদ্দিন শেখের ছেলে শাহজাহান মিয়া।
তিনি তার বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি স্বত্ব ভোগদখলকারী হিসেবে চাষাবাদ করে আসছেন। কিন্তু হঠাৎ তার পার্শ্ববর্তী বসতি মৃত আঃ রহমানের ছেলে মোঃ রফিক মিয়া তাদের ওয়ারিশিয়ান সম্পত্তি তারমধ্যে পান বলে দাবি করেন এবং এই নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ শাজাহান মিয়ার সাথে মৃত আঃ রহমানের ছেলেরা ঝগড়া বিবাদ করে আসছে।
জানা গেছে আঃ রহমানের ছেলেরা সম্পত্তি প্রাপ্তির আশায় একপর্যায় কোর্টে মামলা করেন। কিন্তু মামলার ডিগ্রী পান উল্টো শাজাহান মিয়া। এমতাবস্থায় আঃ রহমানের ছেলেরা মামলায় হেরে গিয়ে আরো বেশী শত্রুতা শুরু করেন এবং তাদের পেশীশক্তি আর অর্থের দাম্ভিকতায় শাহজাহান মিয়ার বসতবাড়ী কিছু অংশ এবং আবাদি ২৬ শতাংশ জমি বেদখল দেন। যার বাস্তবতা পরিলক্ষিত হয় ১২ মে ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে শাহজাহান মিয়ার আবাদকৃত ২৬ শতাংশ জমির ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ।
জানা গেছে শাহজাহান মিয়া,রফিকের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে নিরুপায় হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে এসআই আমিনুল ইসলাম এসে ঘটনার সত্যতা পান এবং কর্তনকৃত ধান মাড়াই করতে নিষেধ করেন। কিন্তু তারা পুলিশের কথা অমান্য করে ধানগুলো মাড়াই করে ফেলেছে বলে জানা যায়।
শুধু তাই নয়, গত ১৭ মে রোববার দুপুরবেলা পুনরায় শাজাহান মিয়ার উঠান সংলগ্ন ভিতর বাড়ীর রাস্তাটি বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয় রফিক ও তার পরিবার এবং পুকুরপাড়ের খালি জায়গাটি নতুন একটি ঘর উঠিয়ে বেদখল করেন বলে জানা গেছে। এদিকে শাহজাহান মিয়ার চাচা শামছুদ্দিন (৬০) এর কাছে উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মৃত আঃ রহমান আমাদের বংশের কেউ নন।
তাকে আমার দাদার চাচাতো ভাই অরন শেখ নিঃসন্তান বলে পোষ্য এনেছিলেন। কিন্তু তিনি মারা যাওয়ার পূর্বে আঃ রহমানকে কোন জমিজমা লিখে দিয়ে যাননি। তাই লাওয়ারিশ হিসেবে তিনি অরন শেখের সমস্ত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। পরবর্তীতে আঃ রহমান অরন শেখের দুই বোনের কাছ থেকে ৯ শতাংশ এবং অরন শেখের স্ত্রী বিবিজান এর কাছ থেকে ৫ শতাংশ মোট ১৪ শতাংশ জমি হেবাবিল এওয়াজ দলিল মূল্যে লিখে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু আব্দুর রহমানের মৃত্যুর পর তার ছেলেরা বলছেন তার বাবা ১৪ শতাংশের বেশী জমি লিখে নিয়েছেন। যার কারণে তারা আরোও জমি পান বলে অযৌক্তিক দাবী করেন। কিন্তু তারা কোনোভাবেই বুঝতে চেষ্টা করছেন না, অতিরিক্ত লিখে নিলেই সম্পত্তি পাওয়া যায় না। যার বাস্তবতা কোর্টের রায় বলে জানান শামছুদ্দিন।
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে আব্দুর রহমানের ছেলে রফিক মিয়া একজন মাদক ব্যবসায়ী। সে মাদক বিক্রির অপরাধে ইতিপূর্বে কয়েকবার জেল খেটে এসেছেন এবং এখনো বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত বলে নেপথ্য জানান অনেকেই। এদিকে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আবু মোহাম্মদ ফজলুল করীমের কাছে উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত করে এর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply