:: শেরপুর প্রতিনিধি ::
নালিতাবাড়ীতে চতূর্থবারের মতো এক কিশোরীকে বাল্য বিয়ে করতে গিয়ে এক বছর ১০ মাসের কারাদন্ড হয় যোগানিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দনগর গ্রামের মৃত আব্দুল হাই এর পুত্র দেলোয়ার হোসেন (৪০) নামের এক ব্যবসায়ীর।
বর যাত্রি হয়ে দেলোয়ারকে সহযোগিতা করায় তাঁর বড় ভাই আন্তাজ আলীর (৫০) কারাদন্ড হয় এক বছরের। উপজেলার মরিচপুরাণ ইউনিয়নের গোজাকুড়া কয়ারপাড় গ্রামে বৃহস্পতিবার (৪ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বরের এক বছর দশ মাস ও ভাইয়ের এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান।
আরও পড়ুন : নালিতাবাড়ীতে অটোভাড়া নিয়ে সংঘর্ষে আহত- ১৫
জানা গেছে, গোবিন্দনগর গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে কাঁচামাল ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন এ যাবত তিন বিয়ে করার পর সবার সাথেই ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। কিছুদিন আগে চতূর্থ বিয়ের জন্য গোজাকুড়া কয়ারপাড় গ্রামের পিতৃহারা বারো বছর বয়সী এক দরিদ্র কিশোরীকে বিয়ে করার জন্য ওই কিশোরীর মা-নানীকে রাজি করে বিয়ে পাগল দেলোয়ার।
এরপর নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী ৪ জুন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কনের বাড়িতে যায় বর দোলোয়ার ও তার বড় ভাই আন্তাজ আলী। যথারীতি কাজী ডেকে সাদা কাগজে কাবিনও করে ফেলে। এ সময় থানা পুলিশ খবর পেয়ে বিয়েতে হানা দেয়।
আরও পড়ুন : নালিতাবাড়ীতে ট্রান্সফরমার বিকল : দুর্ভোগে ১০ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক
পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বর দেলোয়ারকে এক বছর দশ মাস ও বড় ভাই আন্তাজ আলীকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। তবে কাজীসহ কিশোরীর পরিবারের সবাই পালিয়ে যাওয়ায় তাদের শাস্তির আওতায় আনা যায়নি। রাতেই দণ্ড প্রাপ্তদের শেরপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচাজর্ (ওসি) বছির আহমেদ বাদল।
Leave a Reply