:: ক্রীড়া ডেস্ক ::
গত রাতে ওয়ের্ডার ব্রেমেনকে ১-০ গোলে হারিয়ে টানা অষ্টমবারের মতো লিগ শিরোপা নিশ্চিত করলো জার্মান পরাশক্তি বায়ার্ন মিউনিখ।
ম্যাচের ৪৩ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি। সে গোলটাই শোধ করতে পারেনি ব্রেমেন। ফলে ওই এক গোলই যথেষ্ট ছিল বায়ার্নের জেতার জন্য। হাতে দুই ম্যাচ থাকতেই শিরোপা জয়ের উৎসব করা শুরু করে দিয়েছে বায়ার্ন।
আগামী চার তারিখে বেয়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে ডিএফবি পোকাল (জার্মান কাপ) এর ফাইনাল খেলতে নামবেন লেভানডফস্কিরা। সে ম্যাচটা জিতলে ‘ডাবল’ জেতা হয়ে যাবে দলটির। ট্রেবল জিততে তখন শুধু বাকি থাকবে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়।
চ্যাম্পিয়নস লিগেও তাঁরা বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম লেগে এর মধ্যেই চেলসিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে বসে আছে তাঁরা। দ্বিতীয় লেগে কোনোভাবে ড্র করলেও পরের রাউন্ডে উঠে যাবে তাঁরা। উঠে যাবে নূন্যতম দুই গোলে হারলেও।
‘ট্রেবল’ জয় যে বেশ ভালোভাবেই বায়ার্নের কার্যতালিকায় আছে, সেটা বোঝা গেছে কোচ হান্সি ফ্লিকের কথাতেই। স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফ্লিক জানিয়েছেন, ‘আমরা আমাদের প্রথম লক্ষ্য অর্জন করেছি লিগ শিরোপা জয়ের মাধ্যমে। এখন দ্বিতীয় লক্ষ্য জয়ের পালা। আর সেটা হল ডিএফবি পোকাল জয়। অবশ্যই, এর পর চ্যাম্পিয়নস লিগ আছে, যা নিয়ে আপনি আগে থেকে পরিকল্পনা করতে পারেন না। তবুও, চেলসির সঙ্গে আমরা সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। দেখা যাক, কী হয় না হয়।’
ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো তিরিশের বেশি লিগ গোল করলেন লেভানডফস্কি। এখন পর্যন্ত লিগে তাঁর গোলসংখ্যা ৩১। আর সেটাই যথেষ্ট ছিল বায়ার্নের ৩০ তম লিগ জয়ের জন্য।
অথচ গত বছরের শেষ দিকেও বায়ার্নের লিগ জয় কঠিনই মনে হচ্ছিল। দুর্দান্ত ফর্মে লিগ আরবি লাইপজিগ বা বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখের মতো দলগুলো। ওদিকে নিকো কোভাচের অধীনে বায়ার্ন ছিল দিশাহীন পথিক! কোভাচকে ছাঁটাই করে হ্যান্সি ফ্লিককে কোচ করে আনার পর থেকে শুরু হয় বায়ার্নের ভাগ্যবদল। পরে ২৯ ম্যাচের মধ্যে ২৬ ম্যাচেই জেতে তাঁরা। ফলাফল, তা তো চোখের সামনেই!
Leave a Reply