:: সাইদুজ্জামান সাগর- নিজস্ব প্রতিবেদক ::
নওগাঁর রাণীনগরে রোগ প্রতিরোধকারী রসালো ফল লেবু চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। মহামারি পরিস্থিতিতে লেবুর চাহিদা বাজারে বেড়ে যাওয়ায় চাষীরা পাচ্ছে ভালো দাম। চলতি মৌসুমে লেবুর আশানুরুপ ফলন ও দাম পেয়ে চাষীদের মুখে ফুটিয়েছে সম্ভবনার হাসি। পাইকাররা বাগানে এসেই কিনছেন লেবু তাই বাজারজাত নিয়ে বাড়তি ঝামেলা নেই।
রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার প্রায় ৭ হেক্টর জমিতে কৃষি অফিসের পরামর্শে চাষ করা হয়েছে অধিক ফলনশীল চায়না-৩ জাতের লেবু। এ জাতের লেবু গাছে সারা বছরই পাওয়া যায় লেবু। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ লেবুর আবাদ উপজেলার কৃষকদের মাঝে সাড়া জাগিয়েছে। উপজেলার কুজাইল গ্রামের লেবু চাষি রফিকুল ইসলাম, নগরব্রীজ এলাকার গোলাম মোস্তফা ও চকমনু গ্রামে ‘সুফলা নওগাঁ’ নামের একটি কৃষি সংগঠন লেবু চাষে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। লেবু বাগান দেখে এলাকার অন্য চাষীদের মাঝে লেবু চাষের আগ্রহ বাড়ছে।
আরও পড়ুন : আজ কবি সুফিয়া কামালের ১১০তম জন্মদিন
কুজাইল গ্রামের লেবু চাষী রফিকুল ইসলাম বিডি নিউজ বুক টোয়েন্টিফোর ডট নেটকে বলেন, আমি কৃষি অফিসের পরামর্শে লেবুর বাগান করেছি। লেবু গাছ রোপণের প্রায় বছর খানিকের মধ্যে ফলন পাওয়া শুরু করেছি। আমি বর্তমানে অন্যান্য ফসল চাষের পাশাপাশি লেবু চাষের দিকে বেশি আগ্রহী কারণ বাজারে এর চাহিদা সারা বছর আর লেবু চাষে খরচও অনেক কম তাই লাভের পরিমানও আশানুরুপ হচ্ছে।
কৃষি সংগঠন সুফলা নওগাঁর উদ্যোক্তা আহসান হাবিব বিডি নিউজ বুক টোয়েন্টিফোর ডট নেটকে বলেন, এই উপজেলার চাষী ভাইদের একঘেয়ামী ফসল চাষ থেকে ফিরিয়ে এনে সময়পুযোগি অধিক লাভজনক আবাদ হিসেবে লেবু চাষে উদ্বুদ্ধ করতেই কয়েকজন কৃষক ভাইদের সহযোগিতায় আমরা কিছু জমি লিজ নিয়ে লেবুর বাগান করেছি। আমরা একশত লেবু বাগান থেকে পাইকারদের কাছে ২৫০ থেকে ৩০০টাকা করে বিক্রি করছি। এছাড়াও লেবুর গাছ থেকে কলমের মাধ্যমে চারা তৈরি করে তা বিক্রি করেও বাড়তি অর্থ আয় করা সম্ভব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বিডি নিউজ বুক টোয়েন্টিফোর ডট নেটকে বলেন, উপজেলার লেবু বাগানগুলো খুব ভাল হয়েছে। ফলনও ভাল হচ্ছে। লেবু লাভজনক একটি ফসল। লেবু গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি বলে কীটনাশকের তেমন ব্যবহার করতে হয় না। এটি মাটির উর্বতা শক্তি বৃদ্ধি করে। লেবু গাছ অনেক বছর পর্যন্ত ফল দেয়। উপজেলার লেবু চাষিরা ভাল ফলন ও দাম পেয়ে আগামীতে লেবু চাষের পরিধি আরো বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমার দপ্তর থেকে পরামর্শ গ্রহণ করছেন।
Leave a Reply