এম.সাখাওয়াত হোসেন- :: মহাদেবপুর থেকে ::
দিনদিন বেড়েই চলছ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তোয়াক্কা করা হচ্ছে না করে স্বাস্থ্যবিধি। স্বাস্থ্যবিধির না মানার কারণে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হবার সংখ্যা আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।
নওগাঁর মহাদেবপুরে করোনার ভয় উপেক্ষা করে শেষ সপ্তাহে কোরবানির পশুর হাটগুলো জমে উঠেছে। কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে পা ফেলার জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে উপজেলার গরু-ছাগলের হাটগুলোতে।
তবে তারা কোন স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে উপজেলার কোরবানির হাটগুলোতে গরু-ছাগল ক্রেতা ও বিক্রেতার উপচে পড়া ভীড় রীতিমত সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছেন।
এ উপজেলায় সপ্তাহে গরু-ছাগলের মোট ৪টি হাট বসে। সপ্তাহের শনিবার মহাদেবপুর উপজেলা সদরে, রোববার হাট চকগৌরী, বুধবার মাতাজী হাট ও শুক্রবার বাগডোব হাটে কোরবানির পশুর হাট বসছে।
কোরবানির পশুর হাটগুলোতে খামারের বড় গরুর চাহিদা তেমন একটা না থাকলেও গৃহপালিত ছোট এবং মাঝারী সাইজের গরুর চাহিদা রয়েছে ব্যাপক।
ক্রেতাদের চাহিদা মতো ছোট এবং মাঝারী পশুর দামও রয়েছে হাতের নাগালের মধ্যে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা. এস এম খুরসিদ আলম জানান, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ২শ ৮৭টি গরুর খামার ও ৪শ ২৬টি ছাগলের খামার রয়েছে। এসব খামারে কোরবানি উপলক্ষ্যে ৬ হাজার ৯শ ৬৫টি গরু এবং ৫ হাজার ২শ ৭৪টি ছাগল প্রস্তুত রয়েছে।
উপজেলার পশুর হাটগুলোতে নিয়ে আসা খামারের বড় গরুর চাহিদা এবং ক্রেতার সংখ্যা নেই বললেই চলে।
আরও পড়ুন : করোনা ভাইরাস : স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির শেষ নেই, আসলে দায়ী কারা?
উপজেলার হায়দ্রাবাদ গ্রামের বড় গরুর খামারী সাজেদুল রহমান সাজু বলেন, পবিত্র কোরবানি উপলক্ষ্যে বিগত বছরগুলোর মতো এবারো দেশী ও বিদেশী জাতের মোট ৪০টি গরু স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচর্যার মাধ্যমে বড় করেছেন।
কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসের প্রভাবে খামারের বড় গরুর বেচা-কেনায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
ছোট সাইজের ১৫টি গরু বিক্রয় করলেও এখনো ২৫টি গরু তার খামারে রয়ে গেছে। ক্রেতাদের মধ্যে বড় গরু কেনার আগ্রহ কমে যাওয়ায় এবার ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার বড় গরুর দাম সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বলছে। এ কারনে গরু খামারিদের ব্যাপক লোকশান গুনতে হবে বলে তিনি মনে করেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলার হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার প্রবনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধির না মানার কারণে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হবার সংখ্যা আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান বিডি নিউজ বুক টোয়েন্টিফোর ডট নেটকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক কোরবানির পশুর হাটগুলোতে ক্রেতা ও বিক্রেতার নিরাপত্তাসহ স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি রয়েছে।
Leave a Reply