:: নিজস্ব প্রতিবেদক- ঢাকা ::
করোনাভাইরাসের কারণে এবার কোরবানির পশু বেচা-কেনার জন্য অনলাইন বাজার মাধ্যমকে নজর রাখছেন ক্রেতা ও বিক্রেতরা। আর এই অনলাইন বাজারে নজর কাড়ছে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া গ্রামের বিশালাকৃতির জার্সি ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড় গরু।
আদর করে নাম রাখা হয়েছে “মিস্টার বাংলাদেশ”। ষাঁড়টির ওজন ৩৫ মণের বেশি। এছাড়া “টাঙ্গাইলের জাহাজ” নামেও পরিচিতি পেয়েছে এই ষাঁড়।
দেলদুয়ার মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আমিনুজ্জামান ও তার ভাই আসাদুজ্জামান এই ষাঁড় লালন-পালন করে বড় করেন। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে তারা ষাঁড়টির দাম হেঁকেছেন ২০ লাখ টাকা। তবে, এখন পর্যন্ত ১৩ লাখ টাকা দাম উঠেছে বলে তারা জানান।
সাবেক অধ্যক্ষ আমিনুজ্জামান জানান, নিজেদের একটি গাভীর বাছুরকে দীর্ঘ ৪ বছর ধরে লালন-পালন করা হয়েছে। এই ষাঁড়কে কখনো রাসায়নিক খাবার খাওয়ানো হয়নি। সুস্থ রাখার জন্য সব সময় প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানো হয়েছে।
ষাঁড়টি লম্বায় ১১ ফুট ছয় ইঞ্চি, উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট দুই ইঞ্চি এবং ওজন ৩৫ মণের ওপরে।
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিদিন ক্রেতারা এসে ষাড়টি দেখছেন এবং দাম করছেন। অনলাইনে ভিজিট করেও দাম করছেন অনেকে। এখন পর্যন্ত ১৩ লাখ টাকা দাম উঠেছে। আবার অনেকে এক নজর দেখার জন্য “মিস্টার বাংলাদেশ”কে দেখতে বাড়িতে ভিড় করছেন।
আসাদুজ্জামান জানান, “মিস্টার বাংলাদেশ” ছাড়াও দেশি জাতের প্রায় ২০ মণ ওজনের আরো একটি ষাঁড় রয়েছে তাদের। যার বয়স তিন বছর। দু’টি ষাড়কেই বিশেষ যত্নের সাথে বড় করা হয়েছে।
Leave a Reply