:: নিজস্ব প্রতিবেদক ::
নেত্রকোণার বারহাট্টায় বুধবার গভীর রাতে মাছ ধরতে গিয়ে সোহাগ (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছেন।
সোহাগ উপজেলার চিরাম ইউনিয়নের নিজ-চিরাম গ্রামের আবুচানের ছেলে। তাকে খুন করে লাশ এলাকার কোন জলাশয়ে লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলে স্থানীয়রা ধারণা প্রকাশ করেছেন।
লাশ খোঁজে পেতে সন্ধ্যা ৭টায় এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এলাকার জলাশয়সমূহে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত ছিল। বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানসহ পুলিশ ফোর্স দিনব্যাপী ঘটনাস্থলে অবস্থান করে অনুসন্ধান কার্য পরিচালনা করছিলেন।
সোহাগের স্ত্রী সুরমার বরাত দিয়ে চিরাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বলেন, সোহাগ রাত ১টার দিকে বাদেচিরাম বাজারের সড়কের পাশের পানিতে মাছ ধরতে যান। সকাল পর্যন্ত ফিরে না আসায় বিষয়টি লোকজনকে জানানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, সোহাগ একজন যাত্রা-প্রেমী ও সৌখীন মাছ শিকারী ছিলেন। তিনি মাছ ধরা শেষে রাত দুইটার দিকে বাদেচিরাম বাজারের খোকনের দোকান থেকে সিগারেট কিনে বাড়ির দিকে রওনা হন। রাত আড়াইটার দিকে তার চীৎকার শোনা যায়। “বাঁচাও বাঁচাও” চীৎকার শুনে এলাকার বৃদ্ধ লিয়াকত আলী (৭০)সহ অন্যরা এগিয়ে যায়। এ সময় মুখোশধারী কতিপয় ব্যক্তি আগন্তুক সকলকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখায়। এ ব্যাপারে লিয়াকত আলীমুখ খোলার সাহস পাচ্ছেন না। লোকজন আরো জানায়, সেতু-এলাকায় সোহাগের পরনের লুঙ্গী, টর্চ লাইট, ধরা মাছ, থুরি (মাছধরার অস্ত্র) ও তিন-জোড়া সেন্ডেল পাওয়া গেছে।
ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “সোহাগ বুধবার রাতে বাদে-চিরাম বাজারের সড়কের ধারের পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে বাড়ি ফিরে নাই। এলাকার জলাশয় সমূহে সন্দেহজনকভাবে তার লাশের খোঁজা খুঁজি চলছে।”
Leave a Reply