• রবিবার ০৭ জুলাই, ২০২৪
logo

দুধের বাচ্চা রেখে প্রতিবেশির সাথে গৃহবধূ উধাও

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ৪৯:০২ এএম 5 682 views


টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে পরকীয়ার টানে ১১ বছরের সংসার জীবন ও স্বামী-সন্তান রেখে উধাও হয়েছেন এক গৃহবধূ। চলে যাওয়ার সময় নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। 

এনিয়ে আদালতে মামলা হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা মোটা অংকের টাকায় বিনিময়ে মিথ্যা প্রতিবেদেন জমা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ তুলেন ওই ভুক্তভোগী পরিবার। 

ওই গৃহবধূর বাড়ি পঞ্চগড় জেলার আটওয়রী উপজেলা বোদগাও গ্রামে। তাদের সংসারে ১০ বছর বয়সের একটি মেয়ে ও ৭ মাসের একটি ছেলে রয়েছে। গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি ধনবাড়ীর এক গ্রামে।

ওই গৃহবধূর স্বামী চাঁন মিয়া টাঙ্গাইল আদালতে অভিযুক্ত প্রতিবেশি হাফিজুর রহমান (৪০) ও তার সহযোগী রাসেলের নামে মামলা দায়ের করে বিপাকে পড়েছেন। হত্যার হুমকী দেয়া হচ্ছে ওই পরিবারকে। জনপ্রতিনিধি ও মাতাব্বরদের জানিয়ে প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে আজ বুধবার সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন চাঁন মিয়া।

মামলার নথি ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, ১১ বছর আগে গার্মেন্টেসে চাকরির সুবাধে বিয়ে হয়। ওই সংসারে ১০ বছরের মেয়ে ও ৭ মাসের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। চাকরি বাদ দিয়ে গ্রামে চলে আসে তারা। বছর দুয়েক আগে প্রতিবেশি হাফিজুর রহমানের সাথে চাঁন মিয়া ব্রয়লার মুরগীর ব্যবসা শুরু হয়। ব্যবসার সুবাদে চাঁন মিয়ার স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় জড়ায় হাফিজুর। গত জানুয়ারীতে ওই গৃহবধূ স্বামীর গুচ্ছিত নগদ ২ লাখ ৯০ হাজার টাকাও ও দুই ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গভীর রাতে হাফিজুর সাথে পালিয়ে যায়।

ওই গৃহবধূর মেয়ে বলেন, ‘রাতে মা চলে যাওয়ার সময় ঘরের ট্রাংক থেকে টাকা ও গহনা বের করে। এ ঘটনা কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকী দেয়।’

চাঁন মিয়ার বোন জামাই ফিরোজ আহমেদের ভাষ্য, ‘হাফিজুরকে বারবার সতর্ক করা হয়। ওর পরিবার-কেও বিষয়টি জানানো হয়েছিল। মামলা হলে পুলিশ সঠিক প্রতিবেদন জামা দেয়নি।’

ওই গৃহবধূর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ছোট ভাই শাহীন মিয়া বলেন, ‘বোনের সাথে কোনো যোগাযোগ নেই। ও মারা গেছে বলে জানান তিনি।’

চান মিয়ার দাবি, ‘চলে যাওয়ার আগে আমার স্ত্রী ছেলে বাচ্চাটাকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করে। রোজগারের সব টাকা নিয়ে যাওয়ায় ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাাই। মামলা করায় প্রাণ নাশের হুমকী দিচ্ছে হাফিজুর। থানা-পুলিশ উল্টো প্রতিবেদেন জামা দিয়েছে। অভিযুক্ত হাফিজুর ওই পুলিশের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে। এর বিচার চাই।’
  
গৃহবধূ চলে যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সে চলে গেলে থানা-পুলিশ আমাকে আটক করে । তার স্বাক্ষীতে আমাকে ছেঁড়ে দেয়। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। শুনেছি গার্মেন্টেসে চাকুরি নিয়েছে ও।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন কবির বলেন, ‘ওই গৃহবধু দুধের বাচ্চা রেখে হাফিজুরকে বিয়ে করেছে।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ধনবাড়ী থানার এসআই ইয়ার হোসেন বলেন, ‘দুই পরিবারকে ডাকা হয়েছিল। ওই গৃহবধূর স্বেচ্ছায় চলে এসেছি বলে জানায়। বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদেন দাখিল করেছি।’