হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনার মধ্য দিয়ে অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দুই দিনব্যাপী নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে।

বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের নিরাপত্তায় আজ শনিবার বেলা ৩ টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি হল রুমে ভোট গণনা শুরু হয়।

গত বুধবার সকাল ১০টা থেকে প্রথম দিনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় শেষ হয়। দুইদিন ধরে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ হলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘাতের ঘটনায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।

পরে ওই ঘটনায় শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা ওই মামলায় আরও ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী (সাইফ) বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এতে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীকে। এ ছাড়া ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে।

অন্যদিকে মামলার পর শুক্রবার রাতেই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথীর গুলশানের বাসায় অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অভিযানে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এ সময় নাহিদ সুলতানা যুথীকে বাসায় পাওয়া যায়নি।

অভিযানে গ্রেপ্তার আইনজীবীরা হলেন কাজী বশির আহমেদ (৫ নম্বর আসামি), অ্যাডভোকেট তুষার (৯ নম্বর আসামি), অ্যাডভোকেট তরিকুল (১৯ নম্বর আসামি), অ্যাডভোকেট সুমন (৮ নম্বর আসামি) ও অ্যাডভোকেট উসমান (৬ নম্বর আসামি)।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের নিচ তলার শহিদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে হঠাৎ অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী (সম্পাদক পদপ্রার্থী), আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জন আইনজীবী এবং অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জন সু-কৌশলে ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অডিটোরিয়ামের দরজা খুলে দিলে অস্ত্র হাতে জোরপূর্বক বেআইনিভাবে অনাধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় আমাকেসহ নির্বাচন সাব-কমিটির অন্যান্য সদস্যদের গালিগালাজ করেন। এ ছাড়া হত্যার চেষ্টাসহ নানাভাবে আঘাতের কথা এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।