• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
logo

গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

বিডি নিউজ বুক ডেস্ক ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ৪৯:০২ এএম 5 682 views

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধারাবাহিকভাবে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। বাংলাদেশকে আর কেউ পেছনে টেনে নিতে পারবে না। 

আজ রোববার (১১ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শাপলা হলে মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার পথ চলা এত সহজ ছিল না। অনেক চড়াই-উৎরাই, ঘাত-প্রতিঘাত, গুলি, বোমা, গ্রেনেড হামলা, অনেক কিছুর মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাকে। তারপরও আমি হাল ছাড়িনি। যার ফলে আজকে বলতে পারি বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

সরকার প্রধান বলেন, বিশ্ব পরিবর্তনশীল, এই পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আজকে প্রযুক্তির যুগ, বিজ্ঞানের যুগ, গবেষণার যুগ। আমি ২১ বছর পর যখন ক্ষমতা পেলাম, তখন আমি শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিলাম। একটা প্রজেক্ট নিয়েছিলাম নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলব। শিক্ষার্থীরাই শুধু শিক্ষা পাবে তা না, বয়স্করাও যাতে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, এক একটা জেলাকে নিরক্ষরমুক্ত ঘোষণা দিয়ে অনেকটা সফল হয়েছিলাম। পাঁচ বছর পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা এ প্রকল্প বাদ করে দেয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনের সময় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, তারপর ক্ষমতায় আসার পর উদ্যোগ নেওয়া হয়। আজকে কিন্তু আমরা সেই কাজ করতে সফল হয়েছি, আজকে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। কারণ আধুনিক প্রযুক্তি সঙ্গে আমরা যদি তাল মিলিয়ে চলতে না পারি, তাহলে চলব কিভাবে।

তিনি বলেন, আজকে আমাদের সাক্ষরতার হার ৭৫ ভাগে উন্নতি হয়েছে। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি। বিশ্বব্যাপী খাদ্য যখন সব থেকে বেশি কষ্ট মানুষ ভোগ করছে, হ্যাঁ আমাদের এখানেও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। কিন্তু আমাদের এখানে অন্তত খাবার পাওয়া যাচ্ছে। এটার কারণ একটাই আমি প্রথমবার সরকারে এসেই গবেষণার জন্য আলাদা করে টাকা দিলাম। প্রথমে দিলাম ১২ কোটি টাকা। পরে বাজেটের সময় ১০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রাখলাম শুধু গবেষণার জন্য।

তিনি আরও বলেন, আমরা যখন ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসি তখন দেশি সেশনজট। ৬, ৭, ৮ বছরে করে সেশনজট। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি। আমাদের বহু বন্ধুরা ছিল শিক্ষক, তারা বলতো আমাদের গুলির আওয়াজ আর বোমের আওয়াজ না শুনলে ঘুমই আসে না। এটাই আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। আমরা এটুকু দাবি করতে পারি ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর থেকে সেই পরিবেশ থেকে শিক্ষাঙ্গনকে আমরা মুক্ত করেছি।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।